কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন গ্রেফতার

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা মহানগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে বিজিবি সদস্য হত্যাসহ ১১টি মামলার আসামি মহিউদ্দিনকে (৪০) মঙ্গলবার (২ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহানগরীর উত্তর চর্থা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। মহিউদ্দিন নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডের উত্তর চর্থা এলাকার তফাজ্জল হোসেন ইদু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিজিবি সদস্য রিপন হত্যা, একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা, ছিনতাই, অস্ত্র-মাদক, নাশকতাসহ প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে। বুধবার দুপুরে চাঁদাবাজির নতুন একটি মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) বিকালে এসব তথ্য জানান কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের সূত্রে জানা যায়, নগরীতে ছিনতাইকারী ও একটি চোর সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পুলিশের তালিকায় মহিউদ্দিনের নাম রয়েছে শীর্ষে। পরে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিকালে বিজিবি সদস্য রিপন হত্যা, ২০১৪ সালে এক গরু ব্যবসায়ীর ৩১ লাখ টাকা ছিনতাই ও ২০১০ সালে এক কলেজ শিক্ষকের টাকা ছিনতাইসহ নগরীতে কয়েকটি আলোচিত ছিনতাইয়ের মধ্য দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় স্থান পায় তার নাম। তার নেতৃত্বে নগরীতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে নগরীতে একাধিক ছিনতাই ছাড়াও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র নিয়ে বাসা-বাড়িতে হামলা, নাশকতাসহ আরও অনেক ঘটনা ঘটে। অনেকেই ভয়ে মামলা করার সাহস পেত না। গত বছরের ২২ জুন রাতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমা আক্তার সাথীর নগরীর নানুয়াদিঘীর পাড় এলাকার বাড়িতে দলবল নিয়ে মহিউদ্দিন গুলি ও হামলা চালায়।

সর্বশেষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন কিছু দিন ধরে নগরীর উত্তর চর্থার নবাব বাড়ি চৌমুহনী এলাকার ছাব্বির আহম্মদ শুভ নামের এক ব্যবসায়ীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে গত মঙ্গলবার রাতে (২ মার্চ) মহিউদ্দিন তার লোকজন নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভাংচুরসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী স্ত্রী নুসরাত ফারহানার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ডিবি ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘নগরীতে ছিনতাইকারী ও একটি চোর সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পুলিশের তালিকায় মহিউদ্দিনের নাম ছিল। পরে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিকালে বিজিবি সদস্য রিপন হত্যা, ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীর ৩১ লাখ টাকা ছিনতাই ও ২০১০ সালে কলেজ শিক্ষকের টাকা ছিনতাইসহ নগরীতে কয়েকটি আলোচিত ছিনতাইয়ের মধ্য দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম ওঠে। তার নেতৃত্বে নগরীতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সৃষ্টি হয়।’

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!